ডিসকাউন্ট দিয়েও পর্যটক মিলছে না হোটেল মোটেলে,ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক বাড়লেও বুকিং নেই সেখানকার হোটেল-মোটেলে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।সোমবার (২৪ এপ্রিল) ঈদের তৃতীয় দিন বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাভাবিকভাবে যেসব হোটেলগুলো সবসময়ই অগ্রিম ৮০-৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে যেতো সেগুলো এখন ফাঁকা। হোটেলগুলোতে এখনো ৩০-৪০ শতাংশ রুম ফাঁকা রয়েছে। বুকিং পেতে ডিসকাউন্টসহ নানা সুবিধা দিয়েও চাহিদামত পর্যটকদের সাড়া মিলছে না।
ডিসকাউন্ট দিয়েও পর্যটক মিলছে না হোটেল মোটেলে
হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক সাজ্জাদ আহম্মেদ মিদুল বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কোরবানির বন্ধে আমরা অসংখ্য পর্যটক পেয়েছি। যার কারণে স্থান দিতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। এ ছুটিতে আমরা আশা করেছিলাম আরও বেশি পর্যটক আসবে। যেখানে আমাদের হোটেল ১৫-২০ দিন শতভাগ বুকিং হয় সেখানে আমাদের আজকে ঈদের তৃতীয় দিনেও ৩০ শতাংশ রুম ফাঁকা।হোটেল রেইন ড্রপসের পরিচালক দীপংকর দিপু বলেন, আমাদের ২৮টি রুম রয়েছে।
তারমধ্যে ঈদের দ্বিতীয় দিনে ১০টি এবং আজকে এখনো ৮টি ফাঁকা। যেগুলো ভাড়া হয়েছে সেগুলোও রেস্টের জন্য নিয়েছে তাও সন্ধ্যার মধ্যে খালি হবে।ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটাতে ১৫-২০ হাজারের অধিক পর্যটক রয়েছে তবে তারমধ্যে সিংহভাগ পর্যটক সকালে এসে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা ত্যাগ করবে যার ফলে হোটেলগুলোতে বুকিং কম হচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ জাগো নিউজকে বলেন, এবার ঈদের ছুটিটা ঈদের তিনদিন আগে শুরু হওয়ায় মানুষ বেড়াতে আসার মত বের করতে পারেনি যার ফলে হোটেলগুলোর এ চিত্র। তবে পরবর্তী বন্ধে এখন যারা আসতে পারেনি তারা আসবে বলে আশা রাখতে পারি।
আরও পড়ুন:
